সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শেয়ার বাজারে সর্বাধিক হওয়া ভুলের তালিকা...

শেয়ার বাজারে ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক,যদি কেউ বলে আমি ১০০% সিওরে কাজ করি,তাহলে একটায় অপশন থাকে, সে মিথ্যা বলছে।ভুল হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক,তেমনি এক ভুল ,বার বার হওয়া কাম্য নয়। কিছু ভুল সম্পর্কে, আগে থেকে জানা থাকলে ,সেই সব ভুল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব, ফলে নিকট ভবিষ্যতে অনেক কম  ভুল করার সম্ভাবনা থাকে ।ঠকে শেখার চেয়ে দেখে শেখা ভাল। শেয়ার বাজারে টপ ৫টি ভুলের কথা এই আর্টিকেলের শেষে ভিডিওতে বলা আছে ,এরপরও বেশ কিছু ভুল হয়ে থাকে,আর তার মধ্যে প্রথম হল ,আমরা ক্যাশ টাকা বিও একাউন্টে থাকলেই শেয়ার কেনার জন্য অস্থির হয়ে যাই। একদিন শেয়ারের দাম বাড়লেই ,আমাদের মধ্যে মনে হয় এই বুঝি দাম বাড়া শুরু। এই দামে এই শেয়ার কোন দিন আর পাওয়া যাবে না , ট্রেন মিস হয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের মুরিব্বিরা বলে থাকে "শেয়ারের দাম বাড়ে কমার জন্য ,আর দাম কমে বাড়ার জন্য"।যাই হোক আবেগে পরে শেয়ার কেনা হচ্ছে খুব কমন মিসটেক,এর সাথে যুক্ত হয় মার্কেট খোলার সাথে সাথে কোন কিছু না দেখেই শেয়ার কিনে ফেলা।এ তো গেল শুরুর গল্প, কিছু দিন যাওয়ার পর যখন ঘরে টুকটাক লস উঠতে শুরু করে,তখন অনেকেই ক্যান্ডেলস্টিক দিয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস শেখার যাত্রা শুরু করে। দুই দিনের একটা বেসিক ধারণা নিয়ে একদিনের ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর উপর ভিত্তি করে বাই সেল করা, আর একটা ভুল।শুধু মাত্র দিনের ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর উপর অথবা শুধু মাত্র ভলিউম এর উপর ভিত্তি করে বাই সেল করা উচিত না। এক দুই বছর শেয়ার মার্কেটে অতিবাহিত করার পর ,কোন কোন কম্পানীর শেয়ারের সাথে আমাদের আবেগের সম্পর্ক তৈরী হয়ে যায়,আর সেই সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে, আমরা তৈরী করে ফেলি রূপকথার গল্প।সেই গল্পের উপর ভিত্তি করে ,অনেকে আবার বাই সেলের ডিসিশন ও নিয়ে থাকি,যেমন ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার আমার জন্য খুব লাকি তাই বেচব না ,আবার, আর এন স্পিনিং এর শেয়ার যতবার কিনছি ,লস দিয়ে বেচা লাগছে ,এই শেয়ার কেনা ঠিক হবে না। আইটেমের সাথে আবেগের সম্পর্কে জড়ানো আর একটি ভুল।শেয়ার বাজারে ইমোশনের কারণে ভুল ও তার প্রতিকার আর্টিকেলটি পড়ে ইমোশনকে কন্ট্রোল করার একটা ধারণা পেতে পারেন। আপ ট্রেন্ড কনফার্ম করা শেয়ার কিনতে গিয়ে একটু দাম বেড়ে যাওয়ায়,কম দামে থাকা তলানীর শেয়ার কেনা আমাদের একটা সাধারণ প্রবৃত্তি।শেয়ার বাজারে
শেয়ারের দাম এখন কম, এই রকম কোন কথা কোন শেয়ারের জন্য় প্রযোজ্য নয়, ২০২০ সালে এপ্রিল মাসে লেখা হচ্ছে এই আর্টিকেল,আমাদের বাংলাদেশ শেয়ার বাজারের বিগত দুই বছরের শেয়ার প্রাইজ দেখলেই অপনাদের ধারণা ক্লিয়ার হয়ে যাবে,তাই শেয়ার কম দামে আছে এই চিন্তা করাও এক ধরণের ভুল। শেয়ার বাজারের প্রতিটি পাতায় পাতায় অসংখ্য ভুলের ফাদ পাতা থাকে ,তাই তো পুজিবাজারে বিনিয়োগ করা ঝুকিপূর্ন বলা হয়ে থাকে ।যত বেশি ভুল সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে,ততটায় সঠিক রাস্তা সম্পর্কে  ক্লিয়ার ধারণা পাওয়া যাবে,তাই কি ভাবে লাভ করা যায় জানা যেমন জরুরী তেমনি শেয়ার বাজারে কি ভাবে লস করবেন তাও জানা তেমনি জরুরী ।


আমাদের দেশের শেয়ার বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী গন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে গুজবকে, কোন শেয়ারের নামে গুজব ছড়ালেই কোনরকম পরিকল্পনা ছাড়ায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী গন ঝাপিয়ে পরতে রাজি,অথচ আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল টেকনিক্যাল এনালাইসিসের দিকে ,তবে বর্তমান সময়ে হাতে গোনা দুই একজন টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করলেও, এদেশের মানুষ যে শেয়ার বাজার নিয়ে পড়তে আগ্রহ নয়, তা আমার ব্লগের ভিউ দেখলেই বুঝতে পারবেন।এর চেয়ে যদি চিংড়ি মাছের মালাই কোপ্তার রেসিপি লিখতাম তা হলে আরো বেশি ভিউ হতো।যাই হোক বিষয়বস্তুতে ফিরে আসি,আমাদের বিনিয়োগকারীদের উচিত ছিল টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর উপর গুরুত্ব দেওয়া ,মানি ম্যানেজমেন্ট এর উপর গুরুত্ব দেওয়া ,কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বেশিভাগ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মানি ম্যানেজমেন্ট এর উপর কোন ধারণা রাখে না।মানি ম্যানেজমেন্ট এর উপর ধারণা না রাখা, শেয়ার বাজারে আর একটি বড় ভুল।মানি ম্যানেজমেন্টের অভাবে যে লস হচ্ছে অনেক বিনিয়োগকারী ধরতেও পারে না,তাই তারা অভিযোগের সুরে বলে "যেটাতে বেশি টাকা ইনভেষ্ট করি সেটাতেই লস হয়,আর যেটাতে কম টাকা ইনভেষ্ট করি সেটাতে লাভ হয়।কি যে করি? সব কপালের দোষ"।এই রকম অবস্থায় পরতে না চাইলে অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আমরা যদি এই সব ভুল গুলো সম্পর্কে সচেতন হই,তাহলে অনেক গুছিয়ে বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে।যদিও  ভুল থেকেই শেখার আগ্রহ তৈরী হয়, তাই নিচের ভিডিও থেকে আরো কিছু ভুল সম্পর্কে জানাতে পারবেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভাল কোম্পানি কত পার্সেন্ট ডিভিডেন্ড দিলে লাভ হবে?

লং ট্রাম বিনিয়োগকারীরা ভাল শেয়ার চেনার জন্য, কোম্পানীর ডেভিডেন্ড ইল্ড দেখে থাকেন।যে সমস্ত শেয়ারের  ডেভিডেন্ড ইল্ড ভাল সেই সব শেয়ার লং ট্রাম বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।তাই আজকে আমরা  ডেভিডেন্ড   কি ? এবং  কত টাকায় কত পার্সেন্ট ডেভিডেন্ড দিলে ভাল হবে ,অর্থ্যাথ  ডেভিডেন্ড ইল্ড বাহির করার মাধ্যমে কি ভাবে ভাল শেয়ার চিনা যায়, তাই নিয়ে আলোচনা করব। ডিভিডেন্ড ( Dividend ) অর্থ লভ্যাংশ। একটি কোম্পানির তার মুনাফার যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করে থাকে তা-ই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড। কখনো কখনো রিজার্ভ বা সংরক্ষিত তহবিল থেকেও লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। লভ্যাংশ নগদ টাকা বা স্টক (শেয়ার) অথবা উভয় আকারে হতে পারে। লভ্যাংশ সাধারণত শতাংশের হিসাবে প্রকাশ করা হয়। ডিভিডেন্ড সব সময় প্রদান করা হয় ফেস ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে। যেমন ১০% ডিভিডেন্ড দিলে প্রতি শেয়ারে ডিভিডেন্ড হবে ১ টাকা। কারন ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং ১০ টাকার ১০% হচ্ছে ১ টাকা। যদিও শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা কিন্তু মার্কেটে শেয়ারের দাম ১০ টাকার থেকে বেশি বা কম হতে পারে। ধরা যাক ১০% হারে ডিভিডেন্ড দেওয়া কোম্পানি...

ক্যান্ডেলষ্টিক এর উৎপত্তির ঘটনা ও এর পিছনের সাইকোলজি

   মুনিসিহা হোমা [Munehisa Homma] ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রাইজ একশন ট্রেডার।লোক্মুখে প্রচলিত আছে ,তিনি ট্রেডিংএর মাধ্যমে  ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন। এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কে এই  মুনিসিহা হোমা [Munehisa Homma]? তিনি জাপানের সাকাতা ইয়ামাগাতার একজন কৃষক,একজন কৃষক তার ধানের বাজার দর ওঠা নামা ধরার জন্য ক্যান্ডলষ্টিক আবিষ্কার করে। টেকনিক্যাল এনালাইসিসের তিনি পথদ্রষ্টা। আজকের এই আর্টিকেল এই ক্যান্ডালষ্টিক এবং ক্যান্ডেলষ্টিক এর সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করা হবে। যাদের ষ্টোক মার্কেট নিয়ে আগ্রহ আছে তারা সবাই কম বেশি ক্যান্ডেলষ্টিক নিয়ে ধারণা রাখে। তাই আমরা একটু ভিন্ন ভাবে শুরু করব ,প্রথমে চিন্তা করব কি প্রেক্ষাপটে এবং কি সমস্যায় ক্যান্ডেলষ্টিক আবিষ্কার করতে হয়ে ছিল। কি তার সাইকোলজি এবং এর রহস্য ,ভেদ করা হবে এখানে। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে ধরি ,মুনিসিহা তার ধান বিক্রি করার জন্য রওনা হল এখন যেহেতু ৪০০ বছর আগের ঘটনা তাই কোন যান্ত্রিক যানবাহন আশা করা যায় না,ধরলাম গাধার পিঠে করে ধানের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু গাধার পিঠে ধানের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে তাই সঠিক সময়ে গন্তব্যে আসা সম্ভব হ...

ক্যান্ডেলষ্টিক কিভাবে কাজ করে ?

আমরা অনলাইনে চ্যাট করার সময় কম বেশি সকলেই ইমোজি ব্যবহার করে থাকি ,এই সব ইমোজি কোন ভাষা নয়, কিন্তু তার পর ও প্রতিটি ইমোজির ভিন্ন ভিন্ন  অর্থ আছে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্যান্ডেলষ্টিক আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সরলরেখা আকৃতির চিহ্ন হয়ে থাকলে, এই গুলো ঠিক ইমোজির মত অর্থ পূর্ণ সংকেত প্রদান করে থাকে। ক্যান্ডেলষ্টিক হচ্ছে মার্কেটের স্মাইলি, মার্কেট যদি আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় ,তাহলে তা ক্যান্ডেলষ্টিক এর মাধ্যমেই তা  করা সম্ভব হবে।  উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ,ধরুন আপনি আপনার বন্ধুর কাছে  চ্যাটে এক হাজার টাকা ধার চাইলেন, উত্তরে আপনার বন্ধু 👍😀 এই ইমো দিয়ে পাঠাল তাহলে আপনি পজেটিভ হিসাবে ধরে নিবেন।ঠিক একই ক্ষেত্রে যদি 👿 এই ইমো দিত তাহলে বুঝতেন কোন না কোন ঝামেলা আছে। বন্ধু টাকা দিতে রাজি না।  ঠিক এই রকমই ক্যান্ডেলষ্টিক ও পজেটিভ হয়ে থাকে আবার আনুরূপ ভাবে নেগেটিভও হয়ে থাকে, যে ভাবে আমরা ইমো দেখে আমরা মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারি ,ঠিক তেমনি আমরা যদি আমাদের চোখকে ঠিকমত ট্রেইন করতে পারি তাহলে আমরা ক্যান্ডেলষ্টিক দেখেও মার্কেট কেমন হবে অনুধাবন করতে পারব। ক্যান্ডেলষ্টিক আপনাকে বিহাইন্ড ...