সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ক্যান্ডেলষ্টিক কিভাবে কাজ করে ?

আমরা অনলাইনে চ্যাট করার সময় কম বেশি সকলেই ইমোজি ব্যবহার করে থাকি ,এই সব ইমোজি কোন ভাষা নয়, কিন্তু তার পর ও প্রতিটি ইমোজির ভিন্ন ভিন্ন  অর্থ আছে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্যান্ডেলষ্টিক আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সরলরেখা আকৃতির চিহ্ন হয়ে থাকলে, এই গুলো ঠিক ইমোজির মত অর্থ পূর্ণ সংকেত প্রদান করে থাকে। ক্যান্ডেলষ্টিক হচ্ছে মার্কেটের স্মাইলি, মার্কেট যদি আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় ,তাহলে তা ক্যান্ডেলষ্টিক এর মাধ্যমেই তা  করা সম্ভব হবে। 

উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ,ধরুন আপনি আপনার বন্ধুর কাছে  চ্যাটে এক হাজার টাকা ধার চাইলেন, উত্তরে আপনার বন্ধু 👍😀 এই ইমো দিয়ে পাঠাল তাহলে আপনি পজেটিভ হিসাবে ধরে নিবেন।ঠিক একই ক্ষেত্রে যদি 👿 এই ইমো দিত তাহলে বুঝতেন কোন না কোন ঝামেলা আছে। বন্ধু টাকা দিতে রাজি না। 




ঠিক এই রকমই ক্যান্ডেলষ্টিক ও পজেটিভ হয়ে থাকে আবার আনুরূপ ভাবে নেগেটিভও হয়ে থাকে, যে ভাবে আমরা ইমো দেখে আমরা মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারি ,ঠিক তেমনি আমরা যদি আমাদের চোখকে ঠিকমত ট্রেইন করতে পারি তাহলে আমরা ক্যান্ডেলষ্টিক দেখেও মার্কেট কেমন হবে অনুধাবন করতে পারব। ক্যান্ডেলষ্টিক আপনাকে বিহাইন্ড দ্যা সিন সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে।

ক্যান্ডেলষ্টিক এর উৎপত্তির ঘটনা ও এর পিছনের  সাইকোলজি জানতে আমাদের এই লেখাতে ক্লিক করুন, জেনে নিতে পারেন কিভাবে একজন চাল ব্যবসায়ী তার প্রয়োজনে তৈরী করেছিল ক্যান্ডেলষ্টিক।আর এখন আপনি যদি ক্যান্ডেলষ্টিকের উপর দখল আনতে পারেন , তাহলে আপনি যে সিস্টেম ব্যবহার করেন ,সেখানেই আরো ২৫% সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চলে আসবে। যা কি না ভবিষ্যতে সফল হওয়ার জন্য আরো একধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

একটি ক্যান্ডেলষ্টিকের বডি চার ভাগে ভাগ থাকে।
এগুলো হল ;

HIGH               
LOW
OPEN
CLOSE



এই চারটি প্রান্তের মাধেই  প্রতিটি ক্যান্ডেলষ্টিক সিমাবব্ধ থাকে। তবে ছবির সবুজ ক্যান্ডেলষ্টিক এর ওপেন হয় নিচের দিকে এবং ক্লোজ হয় উপরের দিকে এর অর্থ বায়ারের বাই প্রেশারের মাধ্যমে নিচ থেকে ক্যান্ডেলটি উপরের দিকে উঠেছে, হাই এবং লো এর চিকন দুই প্রান্ত হচ্ছে শ্যাডো , উপরের অংশ হাই এবং নিচের অংশ লো ,সকল ক্যান্ডেলষ্টিক এই চার অংশ নিয়েই গঠিত, তবে এখানে দেখা যাচ্ছে নিচ থেকে ওপেন হয়ে উপরের ক্লোজ হওয়ায় এটা একটা বুলিশ ক্যান্ডেল যে কারণে সবুজ রঙ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।

আনুরূপ ভাবে পাশের ক্যান্ডেলষ্টিক টি একই রকম হলেও এখানে ওপেন হয়ছে উপরের দিকে আর ক্লোজ হয়েছে নিচের দিকে ,অর্থ্যাৎ ক্যান্ডেলষ্টিকের এই সেশন চালু হওয়ার পর থেকেই সেলাররা অধিপত্ত বিরাজ করেছে তাই  সেশন শেষে এটি একটি বিয়ারিশ বা রেড ক্যান্ডেল তৈরী করে। সমগ্র ক্যান্ডেলষ্টিক কে এই দুই ভাবে ভাগ করা হয়, বুলিশ ক্যান্ডেলষ্টিক আর বেয়ারিশ ক্যান্ডেলষ্টিক । সুতরাং ব্যাসিক জ্ঞান অর্জন কমপ্লিট। এখন  ইম্পোর্টেন্ট  কিছু ক্যান্ডেলষ্টিকের ছবি নিচে দেওয়া হবে, কারণ আপনি ক্যান্ডেলষ্টিকের প্রাথমিক শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে উঠে গেছেন, তাই নিচের ক্যান্ডেল গুলোকে মনে রাখার চেষ্টা করুন , কারণ পরবর্তী পর্বে আমরা এই সব ক্যান্ডেলষ্টিকের স্বাভাব, ব্যবহার এবং চার্টে এরা কি রকম ভূমিকা পালন করে তাই নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি কমেন্ট করে পাশেই থাকবেন।





 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভাল কোম্পানি কত পার্সেন্ট ডিভিডেন্ড দিলে লাভ হবে?

লং ট্রাম বিনিয়োগকারীরা ভাল শেয়ার চেনার জন্য, কোম্পানীর ডেভিডেন্ড ইল্ড দেখে থাকেন।যে সমস্ত শেয়ারের  ডেভিডেন্ড ইল্ড ভাল সেই সব শেয়ার লং ট্রাম বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।তাই আজকে আমরা  ডেভিডেন্ড   কি ? এবং  কত টাকায় কত পার্সেন্ট ডেভিডেন্ড দিলে ভাল হবে ,অর্থ্যাথ  ডেভিডেন্ড ইল্ড বাহির করার মাধ্যমে কি ভাবে ভাল শেয়ার চিনা যায়, তাই নিয়ে আলোচনা করব। ডিভিডেন্ড ( Dividend ) অর্থ লভ্যাংশ। একটি কোম্পানির তার মুনাফার যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করে থাকে তা-ই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড। কখনো কখনো রিজার্ভ বা সংরক্ষিত তহবিল থেকেও লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। লভ্যাংশ নগদ টাকা বা স্টক (শেয়ার) অথবা উভয় আকারে হতে পারে। লভ্যাংশ সাধারণত শতাংশের হিসাবে প্রকাশ করা হয়। ডিভিডেন্ড সব সময় প্রদান করা হয় ফেস ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে। যেমন ১০% ডিভিডেন্ড দিলে প্রতি শেয়ারে ডিভিডেন্ড হবে ১ টাকা। কারন ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং ১০ টাকার ১০% হচ্ছে ১ টাকা। যদিও শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা কিন্তু মার্কেটে শেয়ারের দাম ১০ টাকার থেকে বেশি বা কম হতে পারে। ধরা যাক ১০% হারে ডিভিডেন্ড দেওয়া কোম্পানি...

ক্যান্ডেলষ্টিক এর উৎপত্তির ঘটনা ও এর পিছনের সাইকোলজি

   মুনিসিহা হোমা [Munehisa Homma] ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রাইজ একশন ট্রেডার।লোক্মুখে প্রচলিত আছে ,তিনি ট্রেডিংএর মাধ্যমে  ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন। এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কে এই  মুনিসিহা হোমা [Munehisa Homma]? তিনি জাপানের সাকাতা ইয়ামাগাতার একজন কৃষক,একজন কৃষক তার ধানের বাজার দর ওঠা নামা ধরার জন্য ক্যান্ডলষ্টিক আবিষ্কার করে। টেকনিক্যাল এনালাইসিসের তিনি পথদ্রষ্টা। আজকের এই আর্টিকেল এই ক্যান্ডালষ্টিক এবং ক্যান্ডেলষ্টিক এর সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করা হবে। যাদের ষ্টোক মার্কেট নিয়ে আগ্রহ আছে তারা সবাই কম বেশি ক্যান্ডেলষ্টিক নিয়ে ধারণা রাখে। তাই আমরা একটু ভিন্ন ভাবে শুরু করব ,প্রথমে চিন্তা করব কি প্রেক্ষাপটে এবং কি সমস্যায় ক্যান্ডেলষ্টিক আবিষ্কার করতে হয়ে ছিল। কি তার সাইকোলজি এবং এর রহস্য ,ভেদ করা হবে এখানে। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে ধরি ,মুনিসিহা তার ধান বিক্রি করার জন্য রওনা হল এখন যেহেতু ৪০০ বছর আগের ঘটনা তাই কোন যান্ত্রিক যানবাহন আশা করা যায় না,ধরলাম গাধার পিঠে করে ধানের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু গাধার পিঠে ধানের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে তাই সঠিক সময়ে গন্তব্যে আসা সম্ভব হ...

বাংলাদেশ শেয়ার বাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যত ! সামনে কি অপেক্ষা করছে?

বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বরণকালে এত দীর্ঘ সময় পুজিবাজার বন্ধের দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন।ফ্লোর প্রাইজের মাধ্যমে কৃত্তিম ভাবে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে বাজারকে,বিগত আট বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম ইনডেক্স ।বোঝায় যাচ্ছে কেমন যাচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট, ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীরা এক কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে।তাই বিনিয়োগকারীদের সবার মনে এক প্রশ্ন, সামনে কি অপেক্ষা করছেতাই আজকের আলোচনা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যত। অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের মত পুজিবাজারকেও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খুলে দেওয়া উচিত। পৃথিবীর করোনা আক্রান্ত সব দেশে পুজিবাজার খোলা থাকলেও আমাদের দেশে বন্ধ, পুজিবাজার এখন চালু করলে এর নেগেটিভ দিক হচ্ছে করোনা মহামারীর সময় বিনিয়োগকারীরা আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবে না,তাই ফ্লোর প্রাইজ ঠিক করা থাকায় শেয়ারের দাম না কমলেও বায়ার লেস থাকতে হবে, আর পজেটিভ দিক হচ্ছে করোনা মোকাবেলার পর মার্কেট ওপেন হলে দীর্ঘ সময় পর আবার চালু হওয়ায় পুজিবাজারে একটা চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে।  এখন আলোচনা করা যাক পুজিবাজারের ভবিষ্যত নিয়ে।  সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এখানে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন...