আমরা অনলাইনে চ্যাট করার সময় কম বেশি সকলেই ইমোজি ব্যবহার করে থাকি ,এই সব ইমোজি কোন ভাষা নয়, কিন্তু তার পর ও প্রতিটি ইমোজির ভিন্ন ভিন্ন অর্থ আছে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্যান্ডেলষ্টিক আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সরলরেখা আকৃতির চিহ্ন হয়ে থাকলে, এই গুলো ঠিক ইমোজির মত অর্থ পূর্ণ সংকেত প্রদান করে থাকে। ক্যান্ডেলষ্টিক হচ্ছে মার্কেটের স্মাইলি, মার্কেট যদি আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় ,তাহলে তা ক্যান্ডেলষ্টিক এর মাধ্যমেই তা করা সম্ভব হবে।
এই চারটি প্রান্তের মাধেই প্রতিটি ক্যান্ডেলষ্টিক সিমাবব্ধ থাকে। তবে ছবির সবুজ ক্যান্ডেলষ্টিক এর ওপেন হয় নিচের দিকে এবং ক্লোজ হয় উপরের দিকে এর অর্থ বায়ারের বাই প্রেশারের মাধ্যমে নিচ থেকে ক্যান্ডেলটি উপরের দিকে উঠেছে, হাই এবং লো এর চিকন দুই প্রান্ত হচ্ছে শ্যাডো , উপরের অংশ হাই এবং নিচের অংশ লো ,সকল ক্যান্ডেলষ্টিক এই চার অংশ নিয়েই গঠিত, তবে এখানে দেখা যাচ্ছে নিচ থেকে ওপেন হয়ে উপরের ক্লোজ হওয়ায় এটা একটা বুলিশ ক্যান্ডেল যে কারণে সবুজ রঙ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ,ধরুন আপনি আপনার বন্ধুর কাছে চ্যাটে এক হাজার টাকা ধার চাইলেন, উত্তরে আপনার বন্ধু 👍😀 এই ইমো দিয়ে পাঠাল তাহলে আপনি পজেটিভ হিসাবে ধরে নিবেন।ঠিক একই ক্ষেত্রে যদি 👿 এই ইমো দিত তাহলে বুঝতেন কোন না কোন ঝামেলা আছে। বন্ধু টাকা দিতে রাজি না।
ঠিক এই রকমই ক্যান্ডেলষ্টিক ও পজেটিভ হয়ে থাকে আবার আনুরূপ ভাবে নেগেটিভও হয়ে থাকে, যে ভাবে আমরা ইমো দেখে আমরা মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারি ,ঠিক তেমনি আমরা যদি আমাদের চোখকে ঠিকমত ট্রেইন করতে পারি তাহলে আমরা ক্যান্ডেলষ্টিক দেখেও মার্কেট কেমন হবে অনুধাবন করতে পারব। ক্যান্ডেলষ্টিক আপনাকে বিহাইন্ড দ্যা সিন সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে।
ক্যান্ডেলষ্টিক এর উৎপত্তির ঘটনা ও এর পিছনের সাইকোলজি জানতে আমাদের এই লেখাতে ক্লিক করুন, জেনে নিতে পারেন কিভাবে একজন চাল ব্যবসায়ী তার প্রয়োজনে তৈরী করেছিল ক্যান্ডেলষ্টিক।আর এখন আপনি যদি ক্যান্ডেলষ্টিকের উপর দখল আনতে পারেন , তাহলে আপনি যে সিস্টেম ব্যবহার করেন ,সেখানেই আরো ২৫% সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চলে আসবে। যা কি না ভবিষ্যতে সফল হওয়ার জন্য আরো একধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
একটি ক্যান্ডেলষ্টিকের বডি চার ভাগে ভাগ থাকে।
এগুলো হল ;
HIGH
LOW
OPEN
CLOSE
আনুরূপ ভাবে পাশের ক্যান্ডেলষ্টিক টি একই রকম হলেও এখানে ওপেন হয়ছে উপরের দিকে আর ক্লোজ হয়েছে নিচের দিকে ,অর্থ্যাৎ ক্যান্ডেলষ্টিকের এই সেশন চালু হওয়ার পর থেকেই সেলাররা অধিপত্ত বিরাজ করেছে তাই সেশন শেষে এটি একটি বিয়ারিশ বা রেড ক্যান্ডেল তৈরী করে। সমগ্র ক্যান্ডেলষ্টিক কে এই দুই ভাবে ভাগ করা হয়, বুলিশ ক্যান্ডেলষ্টিক আর বেয়ারিশ ক্যান্ডেলষ্টিক । সুতরাং ব্যাসিক জ্ঞান অর্জন কমপ্লিট। এখন ইম্পোর্টেন্ট কিছু ক্যান্ডেলষ্টিকের ছবি নিচে দেওয়া হবে, কারণ আপনি ক্যান্ডেলষ্টিকের প্রাথমিক শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে উঠে গেছেন, তাই নিচের ক্যান্ডেল গুলোকে মনে রাখার চেষ্টা করুন , কারণ পরবর্তী পর্বে আমরা এই সব ক্যান্ডেলষ্টিকের স্বাভাব, ব্যবহার এবং চার্টে এরা কি রকম ভূমিকা পালন করে তাই নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি কমেন্ট করে পাশেই থাকবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন