আমাদের মধ্যে দুই শ্রেণীর মানুষ আছে । এক ,যারা টেকনোলজি ব্যবহার করে অভ্যস্ত,দুই যারা টেকনোলজি ব্যবহার করতে সবসময় কিছুটা অনাগ্রহ প্রকাশ করে, না জানার কারণে
এখন যারা টেকনোলজি ব্যবহার করে তাদের মাঝে আবার দুই ভাগ আছে ।এক ভাগ “চলছে জীবন যেমন ,চলুক তবে তেমন” এ বিশ্বাসী।তারা টেকনোলজি ব্যবহার করতে জানলেও নতুন নিয়মে যেতে রাজি না কারণ "আগের নিয়মেই তো ভাল হচ্ছে ,নতুন কিছুর কি দরকার। "আর এক ভাগ আছে তাদের কেউ এসে হাতে তুলে না দিলে শিখবে না। এরা হচ্ছে আগে “সবাই করুক এই পার্টির লোক”।তাহলে দেখা যাচ্ছে খুব কম মানুষই আছে যারা নিজে নিজে নতুনকে স্বাগত জানাবে ।আর তাই তো এখানে বিজয়ী হওয়ার সংখ্যাও কম হয়ে থাকে।
DSE Mobile App কেন ব্যবহার করবেন?
ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডাররাই আপনার লস বা প্ল্যান নষ্ট করার অন্যতম কারিগরঃ
শেয়ার বাজারে এন্ট্রি নেওয়ার শুরুতে যখন আপনি অল্প অল্প করে শেয়ার কিনার অর্ডার দিবেন তখন হয়ত ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডাররা অনীহা প্রকাশ করবে আপনাকে নানা বুদ্ধি দিতে চাইবে, আপনার অর্ডারগুলো অনেক দেরিতে কার্যকর হবে অনেক সময় মিসও হয়ে যেতে পারে।মনে রাখবেন ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডাররাই আপনার লস বা প্ল্যান নষ্ট করার অন্যতম কারিগর।এখন অ্যাপ এ নিজের বাই সেল নিজের হাতে করলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এখানে চাইলে এক পিস শেয়ার ওর্ডার দিলেও, আপনাকে ডিমোটিভ করার কেউ থাকবে না। তবে কমিশনটা রেগুলার এর চেয়ে একটু বেশি লাগবে।
করোনা প্রভাবঃ
২০১০ সালে মোবাইল কলে বাই সেল প্রচলিত হয় ।আস্তে আস্তে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠতেই বাজারে ২০১৬ সালে চলে আসে ডি,এস,ই মোবাইল এপস ।মোবাইল এপস এর ফলে ব্রোকার হাউজের লাভ বেড়ে যায়।কারণ এপস আসার পর বাই সেল বৃদ্ধি পায়।করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে লোক সামাগম এড়িয়ে চলার জন্য এবং আগের চেয়ে অধিক সচেতন হওয়ায় এই এপস ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
আকৃষ্টকারী ফিচার সমূহঃ
এই এপস এ অনেক গোছানো অনেক ইনফোরমেশন পাবেন। বানাতে পারবেন মনের মত ওয়াচ লিষ্ট।আছে নোটিফিকেশন সিসষ্টেম। দেখতে পারবেন দিনের টপ গেইনার,টপ লুজার টোটাল কত টাকার ট্রেড হল,টোটাল কত ভলিউম হল। নিচে একটা লিষ্টের মাধ্যমে এপ্লিকেশনটিতে কি কি আছে দেওয়া হলঃ
এপ্লিকেশনটিতে কি কি আছে তার তালিকা |
তিন ভাগে ভাগ করে তিন ক্যাটাগরির অ্যাপ প্রকাশঃ
এই অ্যাপ টি শুধু সাধারণ ট্রেডারদের জন্যই বানানো হয়নি ,এর আরো দুইটি ভার্সন আছে।
1.DSE-Mobile Vip
2.DSE-Mobile Biz Owner.
চাইলেই আপনি ভিআইপি অ্যাপ নিয়ে প্রফেশনাল ট্রেডারের মাধ্যমে হাই ভ্যালু সাপোর্ট পেতে পারেন।
চার্জ ফ্রিঃ
এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রেজিষ্ট্রেশন চার্জ সরকার কর্তৃক উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।আমরা জানি এটি একটি ক্লাউড-্বেসড সফটওয়্যার যার কারণে ব্রোকারেজ হাউজ আপনার অজান্তে বিও একাউন্ট হতে মাসিক চার্জ উত্তলন করে নিতে পারবে, যদি সরকার চার্জ নিধারণ করে থাকে। আমরা ধারণা করি ২০২১ এর শেষের দিকে অথবা ২০২২ সালের মধ্যেই এই অ্যাপস বছর ভিত্তিক চার্জ নির্ধারণ করা হয়ে থাকবে।
এই সব হল এই অ্যাপ এর সুবিধা। শুধু যদি সুবিধা গুলোই বলে যাই ,তবে অনেকটা পেইড রিভিউ বলে মনে হবে। আর আমাদের লক্ষ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীর পাশে থাকা ,কোন প্রতিষ্ঠান না কোম্পানীর পাশে থাকা নয়।তাই আপনাদের জানতে হবে এই অ্যাপ এর অসুবিধা সমূহ
অসুবিধা সমূহঃ
১। যারা একে বারে শেষের দিকে ট্রেড করতে চান,তাদেরকে সর্তক থাকতে হবে।কারণ দুইটা ,কপালে না থাকলে পাসওয়ার্ড স্মুথ ভাবে রান নাও করতে পারে আবার যেহেতু নেটের সংযোগে এই অ্যাপ চলে তাই নেট প্রবলেম এ ধরা খেতে পারেন।২। নোটিফকেশনের অপশন থাকলেও শুধু মাত্র অ্যাপ ওপেন থাকলেই পাওয়া সম্ভব।৩।কোন কারণে অ্যাপ আনইনিসষ্টোল হলে বা ডিলিট হয়ে গেলে আবার ব্রোকার হাউজের সাথে যোগাযোগ করে নিতুন করে নিতে হবে যা সময়সাপেক্ষ।
একজন ট্রেডার হতে চাইলে ডি এস ই অ্যাপ সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারবে। কারণ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা যোগ্যতা।এভারেজ করা বলতে এখন আর,একটা নির্দিষ্ট সময় পর আবার কেনার মধ্যেই সিমাবদ্ধ নেই।এখন অল্প অল্প করে এভারেজ এর মাধ্যমে বাই করতে পারবেন,আবার যেকোন সময় ষ্টপ লস দিতে পারবেন।দাম কমার পর যদি সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয় এভারেজ করবেন না কি ষ্টপ লস নিবেন । তবে দেখতে পারেন ভিডিওটি ।এভারেজ এবং ষ্টপ লস সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
আমদের ইউটিউবচ্যানেল ভিজিট করুন
আমদের ইউটিউবচ্যানেল ভিজিট করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন